সংবাদদাতা ;
কক্সবাজারের পেকুয়ায় লবণ ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন লুৎফা, তার ভাই ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন এবং লুৎফার ছেলে জয়নাল আবেদীনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করার মামলায় দুই আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন ও সমশু উদ্দিনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদী মো. এনাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাদী মো. এনাম অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে হেলাল ও সমশু দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। নিরীহ মানুষের ওপর হামলা, ভূমি দখল, মামলা দিয়ে হয়রানি, এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তাদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।”
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর মগনামা ইউনিয়নের ছেরাংঘোনা এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় তার পিতা, চাচা ও ভাইকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করা হয়। ওই হামলার নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, সমশু উদ্দিন ও মামুন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যা প্রমাণ হিসেবে থানায় দাখিল করা হয়।
বাদী অভিযোগ করেন, “মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে তড়িঘড়ি করে মনগড়া চার্জশিট দাখিল করেন। তবে আদালতে হামলার ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
তিনি আরও বলেন, “কিছু আসামি জামিনে বেরিয়ে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. এহেসান জানান, “হামলার সময় ভিডিও ফুটেজ ধারণ করা হয়েছিল। সেই ফুটেজ আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।